সুখ আসলে কিসে তার সঠিক সংজ্ঞা কারো কাছে আছে কিনা জানা নেই। ব্যক্তিবিশেষে সুখের সংজ্ঞা ভিন্ন হয়।
যদি বেকারত্বের হতাশায় জর্জরিত মানুষটিকে জিজ্ঞেস করা হয় তার সুখ কিসে, তবে উত্তর হবে-একটি চাকরী। যদি কোন ধর্ষিতাকে জিজ্ঞেস করা হয় তার সুখ কিসে, তবে উত্তর হবে-ফিরে পাওয়া সতীত্ব। যদি বৃন্দাবনে পড়ে থাকা বৃদ্বাকে জিজ্ঞেস করা হয়, তার উত্তর হবে- সাদা কালো জীবন হতে মুক্তি। ক্ষুধার্ত পথিকের সুখ হয়তো একমুঠো ভাত। বন্চিত নারীর যেমন স্বামার ভালবাসা কিংবা শীতে জর্জরিত রাস্তার ধারে পড়ে থাকা মানুষটির যেমন একটি শীতের কাপর। আবার একজন লেখকের সুখ নিশ্চয়ই তার সৃষ্টিতে।
প্রতিটি মানুষ ভিন্ন ভিন্ন ভাবে ভিন্নতায় তার সুখ খুঁজে পায়। সুখ আসলে নির্ভর করে মানুষের পূর্ণতায়। চাওয়া যখন পাওয়া হয় তখনই সুখ। না হলেই কষ্ট। সে চাওয়া কতটা প্রয়োজন কতটা যুক্তিপূর্ণ বা ন্যায়সঙ্গত, তা মানুষের বিজ্ঞ জ্ঞানের বাহিরে। মানুষ যদি নিজের নির্ধারিত আশা ও আকাঙ্খার যৌক্তিকতা ও প্রয়োজনীয়তা বিচার করতে পারতো, তবে অমুলক আশায় নিরাশ হতনা।
সুখ কেবল পাওয়ায় নয়, বিলিয়ে দেওয়ার মাঝেই প্রকৃত সুখ! যেখানে পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা থাকে, সুখ সেখানে ধরা দেয় খুব কম।
যখন আপনার মানবিকতায় কারো পেট ভরবে, দেখবেন আনন্দে আপনার মন ভরে উঠবে। যখন আপনার জন্য কারো চোখে আনন্দের অশ্রু ঝড়বে, তখন আপনার গর্ব হবে। যখন আপনার বুলি কারো মনে সাহস বাড়াবে, আপনি আত্ববিশ্বাসী হয়ে উঠবেন। যখন দিন শেষে হিসেব করে দেখবেন আজকের আত্বত্যাগের ভাগটা বেশী, তখন চোখে প্রশান্তির ঘুম চলে আসবে।
শুধু অন্যকে অনুভব করেই বসে থাকা সুখের নয়। অন্যকে এগিয়ে যেতে, প্রসারিত হতে, বিস্তৃত হতে সাহায্য করা সুখের। হয়তো সে মানুষটি এক সময় সাফল্যে আপনাকে ছাড়িয়ে যাবে, হয়তো সে মানুষটি এক সময় আপনার অবদান মনে রাখবে না। তাতে কি?
অকৃতজ্ঞতা-মানুষ হওয়ার কিছু নিয়ম ভাঙ্গার মাঝে একটি। অকৃতজ্ঞতা, বিশ্বাসঘাতকতা, মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি। সৃষ্টির এই প্রবৃত্তি অস্বীকার করা দুষ্কর। তবে চাইলেই আমরা জীবনের এই রুঢ়তাকে এড়িয়ে গিয়ে বা গ্রহন করে নিজেকে যে কোন পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নিতে পারি। যতটা সহনশীল হওয়া যায়, যতটা দৃষ্টিভঙ্গি বদলে সহজ পথে হাঁটা যায়, ততটাই সুখের সন্ধান সহজ হয়।
সুখ
সুখ আসলে কিসে তার সঠিক সংজ্ঞা কারো কাছে আছে কিনা জানা নেই। ব্যক্তিবিশেষে সুখের সংজ্ঞা ভিন্ন হয়।
যদি বেকারত্বের হতাশায় জর্জরিত মানুষটিকে জিজ্ঞেস করা হয় তার সুখ কিসে, তবে উত্তর হবে-একটি চাকরী। যদি কোন ধর্ষিতাকে জিজ্ঞেস করা হয় তার সুখ কিসে, তবে উত্তর হবে-ফিরে পাওয়া সতীত্ব। যদি বৃন্দাবনে পড়ে থাকা বৃদ্বাকে জিজ্ঞেস করা হয়, তার উত্তর হবে- সাদা কালো জীবন হতে মুক্তি। ক্ষুধার্ত পথিকের সুখ হয়তো একমুঠো ভাত। বন্চিত নারীর যেমন স্বামার ভালবাসা কিংবা শীতে জর্জরিত রাস্তার ধারে পড়ে থাকা মানুষটির যেমন একটি শীতের কাপর। আবার একজন লেখকের সুখ নিশ্চয়ই তার সৃষ্টিতে।
প্রতিটি মানুষ ভিন্ন ভিন্ন ভাবে ভিন্নতায় তার সুখ খুঁজে পায়। সুখ আসলে নির্ভর করে মানুষের পূর্ণতায়। চাওয়া যখন পাওয়া হয় তখনই সুখ। না হলেই কষ্ট। সে চাওয়া কতটা প্রয়োজন কতটা যুক্তিপূর্ণ বা ন্যায়সঙ্গত, তা মানুষের বিজ্ঞ জ্ঞানের বাহিরে। মানুষ যদি নিজের নির্ধারিত আশা ও আকাঙ্খার যৌক্তিকতা ও প্রয়োজনীয়তা বিচার করতে পারতো, তবে অমুলক আশায় নিরাশ হতনা।
সুখ কেবল পাওয়ায় নয়, বিলিয়ে দেওয়ার মাঝেই প্রকৃত সুখ! যেখানে পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা থাকে, সুখ সেখানে ধরা দেয় খুব কম।
যখন আপনার মানবিকতায় কারো পেট ভরবে, দেখবেন আনন্দে আপনার মন ভরে উঠবে। যখন আপনার জন্য কারো চোখে আনন্দের অশ্রু ঝড়বে, তখন আপনার গর্ব হবে। যখন আপনার বুলি কারো মনে সাহস বাড়াবে, আপনি আত্ববিশ্বাসী হয়ে উঠবেন। যখন দিন শেষে হিসেব করে দেখবেন আজকের আত্বত্যাগের ভাগটা বেশী, তখন চোখে প্রশান্তির ঘুম চলে আসবে।
শুধু অন্যকে অনুভব করেই বসে থাকা সুখের নয়। অন্যকে এগিয়ে যেতে, প্রসারিত হতে, বিস্তৃত হতে সাহায্য করা সুখের। হয়তো সে মানুষটি এক সময় সাফল্যে আপনাকে ছাড়িয়ে যাবে, হয়তো সে মানুষটি এক সময় আপনার অবদান মনে রাখবে না। তাতে কি?
অকৃতজ্ঞতা-মানুষ হওয়ার কিছু নিয়ম ভাঙ্গার মাঝে একটি। অকৃতজ্ঞতা, বিশ্বাসঘাতকতা, মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি। সৃষ্টির এই প্রবৃত্তি অস্বীকার করা দুষ্কর। তবে চাইলেই আমরা জীবনের এই রুঢ়তাকে এড়িয়ে গিয়ে বা গ্রহন করে নিজেকে যে কোন পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নিতে পারি। যতটা সহনশীল হওয়া যায়, যতটা দৃষ্টিভঙ্গি বদলে সহজ পথে হাঁটা যায়, ততটাই সুখের সন্ধান সহজ হয়।
Published by HB Rita on Saturday, May 10th, 2014