জ্বরে আক্রান্ত গোটা বিশ্ব ইদানীং ” সেলফি” নামক জিনিসটা নিয়ে মেতেছে। ঘরে ক্ষুদা নিবারনের মত সামান্য খাবার টূকু থাকুক আর নাই থাকুক, পাশের গলিতে কেউ বিনা চিকিৎসায় মারা যাক, হোক পরিবারের কোন প্রিয় জনের মৃতু কিংবা দেশে দুর্ভিক্ষ, তাতে ” সেলফি ওয়ালাদের” কোন বিকার নেই। ঘুম থেকে উঠেই ঘুম কাতর চোখে সেলফি। দাত ব্রাশ না করেই ” হা” করে সেলফি। সোজা ঘার বাকা তেরা করে, দাঁত মুখ খিচিয়ে এই ” সেলফি” তুলার কারন কি, তা আজো আমার বোধগম্য নয়।
সেলফিওয়ালারা অনেকেই হয়তো জানেন না এই ” সেলফি ” প্রচলন কিভাবে, কোথা থেকে এলো !
১৮৩৯ সালে, মার্কিন আলোকচিত্রী রবার্ট কর্নেলিয়াস, নিজের ছবি নিজে তুলে পৃথিবীর প্রথম সেলফি তৈরি করেন। আর এই ” সেলফি” শব্দটি , অস্ট্রেলিয়ার একটি অনলাইন ফোরাম সর্বপ্রথম ব্যবহার করে ২০০২ সালে। ২০১৩ সালে, অক্সফোর্ড অভিধান এই ” সেলফি” শব্দটিকে, বর্ষসেরা শব্তাদের খেতাব দেন।
আমি কিছুটা বিভ্রান্ত হই এই ” সেলফি ” প্রসঙ্গে । কাউকে বিভ্রান্ত করা আমার উদ্দেশ্য নয়। তবে বিষয়টা মাথায় ঘুরছিল অনেকদিন। আসলে ” সেলফি” মানুষ কেন তুলে?
এক বিখ্যাত গবেষক ক্রিস্টি বারলেট এই প্রসঙ্গে, ২০১৩ সালে প্রকাশিত ‘সাইকোলজি অব সেলফিজ’ নিবন্ধে বলেছিলেন, ” যারা বেশি বেশি সেলফি তোলে ও পোস্ট করে তাদের বেশির ভাগের মধ্যেই রয়েছে অন্যের মনোযোগ আকর্ষণ করার চেষ্টা এবং তারা কেউ কেউ ব্যক্তিজীবনে অনেকখানিই একা”।
আমি সহমত। আমার দৃস্টিতে সেলফি তোলার প্রধান কারন গুলো হলো-
– একাকীত্ব।
– হতাশা
-আত্ববিশ্বাসের অভাব।
-নিজেকে অন্যের সামনে ব্যাতিক্রম বা আকর্ষনীয় করে তুলা !
– নিজেকে নিয়ে বা নিজের মেধা নিয়ে কনফিউশন। যাকে এক কথায় ব্যাক্তিত্তের সমস্যা বলা যায় ।যাদের মাঝে এই ব্যক্তিত্বের সমস্যা রয়েছে, তারা নিজের সৌন্দর্য, গুরুত্ব ও ক্ষমতা নিয়ে সব সময় হীন্মন্যতায় ভুগেন এবং সেগুলোকে সেলফির মাধ্যমে প্রচার করতে স্বাছন্দবোধ করেন।
ফেইসবুক এ ঢুকলেই নিউজ ফিড ভর্তি সেল্ফি ! কমেন্ট না দিয়ে অন্যদিকে নড়াচড়ার আর সুযোগ নেই। হাজার হলেও শখ করে তুলেছে !
সেল্ফি তুলে আপ্লোড দিয়েই সেল্ফিওয়ারা আবার অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেন কে কি বললো তা দেখার জন্য ! কাছের মানুষ গুলোকে এক প্রকার বাধ্য হয়েই এই অত্যাচার সইতে হয়!
তবে এই সেল্ফি ভাইরাস নব প্রজন্মের একটা বিশাল উপকার কিন্তু করছেন ! অনেক তরুন তরুনীকেই বিরহ বা হতাশায় পরে, ব্লেড দিয়ে হাত পা কেটে-কুটে, ঘুমের পিল নিয়ে মৃত্যু পথযাত্রী মুরগীর মত ঝিমাতে দেখা যেত । এখন অবশ্য এই ” সেলফি” তাদের অনেকটাই হতাশা কমিয়ে দিয়েছেন। এখন উনারা অনেকেই আর সস্তা ব্লেড এ নিজের ক্ষতি করেন না। মন খারাপ মানেই এখন ” সেলফি ” ! একাকীত্ব বা হতাশা দূর করতে ” সেলফি ” এক মহৌষদ হিসাবে কাজ করছে।
সেলফি তুলায় কোন অপরাধ নেই। নিজেকে সুন্দর ভাবে অন্যের সামনে উপস্থাপন করার প্রবনতা মানুষের জন্মগত অধীকার। বেঁচে থাকার জন্য মৌলিক অধীকার গুলো পার করেই মানুষ চায় অন্যের কাছে নিজের কিছুটা ভিন্নতা ও নিজের স্বীকৃত ভালবাসা।
সেলফি তুলুন। তবে পরিমিত ভাবে। আত্ববিশ্বাসী হোন। নিজের যা সৌন্দর্য আছে, তা তুলে ধরুন আপনার কর্ম বা ভাবনা দিয়ে। সেলফিও আসবে। তবে তা যেন কখনোই আপনার আসল গুনাগুন ক্যা আড়াল করে না দেয়। কিংবা আপনার বেড়ে উঠার আত্ববিশ্বাসকে আরো পিছনে ঠেলে না দেয় !!!
ডার্ক এভিল
সেলফি
জ্বরে আক্রান্ত গোটা বিশ্ব ইদানীং ” সেলফি” নামক জিনিসটা নিয়ে মেতেছে। ঘরে ক্ষুদা নিবারনের মত সামান্য খাবার টূকু থাকুক আর নাই থাকুক, পাশের গলিতে কেউ বিনা চিকিৎসায় মারা যাক, হোক পরিবারের কোন প্রিয় জনের মৃতু কিংবা দেশে দুর্ভিক্ষ, তাতে ” সেলফি ওয়ালাদের” কোন বিকার নেই। ঘুম থেকে উঠেই ঘুম কাতর চোখে সেলফি। দাত ব্রাশ না করেই ” হা” করে সেলফি। সোজা ঘার বাকা তেরা করে, দাঁত মুখ খিচিয়ে এই ” সেলফি” তুলার কারন কি, তা আজো আমার বোধগম্য নয়।
সেলফিওয়ালারা অনেকেই হয়তো জানেন না এই ” সেলফি ” প্রচলন কিভাবে, কোথা থেকে এলো !
১৮৩৯ সালে, মার্কিন আলোকচিত্রী রবার্ট কর্নেলিয়াস, নিজের ছবি নিজে তুলে পৃথিবীর প্রথম সেলফি তৈরি করেন। আর এই ” সেলফি” শব্দটি , অস্ট্রেলিয়ার একটি অনলাইন ফোরাম সর্বপ্রথম ব্যবহার করে ২০০২ সালে। ২০১৩ সালে, অক্সফোর্ড অভিধান এই ” সেলফি” শব্দটিকে, বর্ষসেরা শব্তাদের খেতাব দেন।
আমি কিছুটা বিভ্রান্ত হই এই ” সেলফি ” প্রসঙ্গে । কাউকে বিভ্রান্ত করা আমার উদ্দেশ্য নয়। তবে বিষয়টা মাথায় ঘুরছিল অনেকদিন। আসলে ” সেলফি” মানুষ কেন তুলে?
এক বিখ্যাত গবেষক ক্রিস্টি বারলেট এই প্রসঙ্গে, ২০১৩ সালে প্রকাশিত ‘সাইকোলজি অব সেলফিজ’ নিবন্ধে বলেছিলেন, ” যারা বেশি বেশি সেলফি তোলে ও পোস্ট করে তাদের বেশির ভাগের মধ্যেই রয়েছে অন্যের মনোযোগ আকর্ষণ করার চেষ্টা এবং তারা কেউ কেউ ব্যক্তিজীবনে অনেকখানিই একা”।
আমি সহমত। আমার দৃস্টিতে সেলফি তোলার প্রধান কারন গুলো হলো-
– একাকীত্ব।
– হতাশা
-আত্ববিশ্বাসের অভাব।
-নিজেকে অন্যের সামনে ব্যাতিক্রম বা আকর্ষনীয় করে তুলা !
– নিজেকে নিয়ে বা নিজের মেধা নিয়ে কনফিউশন। যাকে এক কথায় ব্যাক্তিত্তের সমস্যা বলা যায় ।যাদের মাঝে এই ব্যক্তিত্বের সমস্যা রয়েছে, তারা নিজের সৌন্দর্য, গুরুত্ব ও ক্ষমতা নিয়ে সব সময় হীন্মন্যতায় ভুগেন এবং সেগুলোকে সেলফির মাধ্যমে প্রচার করতে স্বাছন্দবোধ করেন।
ফেইসবুক এ ঢুকলেই নিউজ ফিড ভর্তি সেল্ফি ! কমেন্ট না দিয়ে অন্যদিকে নড়াচড়ার আর সুযোগ নেই। হাজার হলেও শখ করে তুলেছে !
সেল্ফি তুলে আপ্লোড দিয়েই সেল্ফিওয়ারা আবার অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেন কে কি বললো তা দেখার জন্য ! কাছের মানুষ গুলোকে এক প্রকার বাধ্য হয়েই এই অত্যাচার সইতে হয়!
তবে এই সেল্ফি ভাইরাস নব প্রজন্মের একটা বিশাল উপকার কিন্তু করছেন ! অনেক তরুন তরুনীকেই বিরহ বা হতাশায় পরে, ব্লেড দিয়ে হাত পা কেটে-কুটে, ঘুমের পিল নিয়ে মৃত্যু পথযাত্রী মুরগীর মত ঝিমাতে দেখা যেত । এখন অবশ্য এই ” সেলফি” তাদের অনেকটাই হতাশা কমিয়ে দিয়েছেন। এখন উনারা অনেকেই আর সস্তা ব্লেড এ নিজের ক্ষতি করেন না। মন খারাপ মানেই এখন ” সেলফি ” ! একাকীত্ব বা হতাশা দূর করতে ” সেলফি ” এক মহৌষদ হিসাবে কাজ করছে।
সেলফি তুলায় কোন অপরাধ নেই। নিজেকে সুন্দর ভাবে অন্যের সামনে উপস্থাপন করার প্রবনতা মানুষের জন্মগত অধীকার। বেঁচে থাকার জন্য মৌলিক অধীকার গুলো পার করেই মানুষ চায় অন্যের কাছে নিজের কিছুটা ভিন্নতা ও নিজের স্বীকৃত ভালবাসা।
সেলফি তুলুন। তবে পরিমিত ভাবে। আত্ববিশ্বাসী হোন। নিজের যা সৌন্দর্য আছে, তা তুলে ধরুন আপনার কর্ম বা ভাবনা দিয়ে। সেলফিও আসবে। তবে তা যেন কখনোই আপনার আসল গুনাগুন ক্যা আড়াল করে না দেয়। কিংবা আপনার বেড়ে উঠার আত্ববিশ্বাসকে আরো পিছনে ঠেলে না দেয় !!!
Published by HB Rita on Wednesday, January 8th, 2014