আমার মস্তিষ্ক বিকৃত চেতনা

পাপ-আঁধারে বাক্সবন্দী বিষাদ
ক্রোধের পিঠ চাপরে নখের আঁচড়ে শরীরে ঢুকে যাওয়া
বিদ্রোহী মেডুলা
হেরে যাওয়া তিক্ততা;
করতল বেয়ে নেমে আসে হিংস্র সত্তা,জমিনে।
গাল বেয়ে নোনাজল সুঢৌল বক্ষ অবধি,
দীর্ঘ রজনী, ডায়েরীর পাতায় কিছু আত্মপ্রলাপ।
তারপর ধীরে ধীরে মস্তিষ্কের ক্ষয়
বেসামাল ভাবনার আলোকে বিন্দু বিন্দু ভালবাসা গলে পড়া
দ্বি-খন্ডিত মগজে বিশ্বাস-অবিশ্বাসের আলোড়নে
সিঁদ কেটে অশরীরি সংশয় ঢুকে পড়ে কর্দমাক্তময় মনো আঙিনায়।
ফুলগুলো ভুল হয়ে হলো ধূসর রঙা
ক্ষরায় ফাটা জমিনের বুক, রৌদ্রতপ্ত বেলা
নীলাম্বরী এক টুকরো মেঘ অভিমান হয়ে ছুঁয়ে গেলো চোখের কূল
মৃন্ময় হয়ে রইলো অবেলার সাক্ষী।
অবশেষে অসুস্থ্য মস্তিষ্কের প্রয়োজন ছিলো একটি লাশ
ধরিত্রীর সংকীর্ণতার মায়াজালে বছর পুরানো বিকৃত চেতনা
রুপোলী চকচকে তীক্ষ্মতায় ক্ষত-বিক্ষত মনুষ্যত্বের বলিতে;
অতঃপর দিলেম দেহের বাঁধ কেটে।
নিথর দেহ, বিকারগ্রস্থ মগজ লুটিয়ে পড়ে পৃথিবীর জমিনে;
যেখানে মৃন্ময় নেই।
যেখানে এফোঁড়-ওফোঁড় করে হৃদয়ের গায়ে
সেলাই করে দেয়া কষ্টরা কাঁদে নিভৃতে,
সেখানে আমি ও আমার মস্তিষ্ক বিকৃত চেতনা; একে অপরের।
মৃন্ময় তুমি চলে যাও দূরে। আমার সীমানা হতে বহুদূরে,
যেখানে কেবল তুমি আর তোমার ছায়ার মাঝে হয় গোপন সঙ্গম।
আমার আঙিনা পড়ে থাকুক শুন্য
আমি সেখানে কোদাল হাতে মাটি খুঁড়ে খুঁড়ে চাষ করি এক অমোঘ মৃত্যুর।