মনে পড়ে

পিছনে তাকালেই মনে পড়ে
উদ্যম টগবগে ভরা কৈশর
স্বপ্ন রাশি রাশি
ঝিঙে সরু কোমরে রুপোর বিছায় এক কিশোরী।
এক্কা দোক্কা খেলায় শরীরের ভাঁজে ভাঁজে ঢেউ
বনলতার মাধুর্য মাখা অবয়ব
উপচে পড়া বাঁধ ভাঙা যৌবন,
হেলায় হেলায় বেলা বয়ে যাওয়া;
যামিনীর কোলে নেশাতুর আবেগ সমর্পণ।
মনে পড়ে,
অষ্টপ্রহরে জেগে উঠা স্বপ্ন
কাজল কালো ছলছলে আঁখিতে বিষাদের অশ্রুদানা
ভরা পূর্ণিমায় উদ্যম নৃত্যে
জোছনার আলোয় সিক্ত হওয়ার বাসনা!
পিছনে তাকালেই চোখে ভাসে,
কালবৈশাখী ঝড়ো হাওয়ায় উড়ুউড়ু চুল
বুনো ষাঁড়ের মত তেড়ে আসা জিদ
বহুবার আল্পনা পায়ে মলের ঝনঝনানি
পুরোটা আকাশ নিজের করে পাওয়া,
নাটাই বিহীন ঘুড়ি উড়ার মত;
বনে বাদারে আকাশপানে স্বপ্ন ছোঁড়া।
মনে পড়ে,
বৃষ্টির রিমঝিম শব্দ
মাতাল করা আবেশে কারো গা জড়িয়ে থাকা
চকচকে সোনালী রোদ্দুর উঠোন ভরা
এক ফালি জ্যোৎস্নার ভাগ মুঠো ভরা,
জোনাকীর আলোয় কপালে টিপ;
তমিস্রায় যেন সদ্য ফোটা গোলাপ।
কেন মনে পড়ে এতসব?
একটা ভোরের ভেজা চুল, হয়তো
ক্লান্ত দুপুরে বুকের ভাঁজে ঘাম
একটা বিকেলের খানিক আলো
সন্ধ্যার মুখে প্রিয়র মুখে শোনা নাম
পিছনে তাকালেই কেন মনে পড়ে?
সবুজে সবুজে ছেঁয়ে যাওয়া শষ্য ক্ষেত
কুঁমড়ো মাচায় ঝুলে থাকা গৃহিনীর সুখ
অশ্বথের তলে ক্লান্ত কৃষক,
লজ্বাবতী ঘোমটা টেনে রক্তাক্ত মুখ;
কেন মনে পড়ে এতসব?
পিছনে তাকালেই কেন মনে পড়ে
একটি যুবকের লোমশ উন্মুক্ত বুক
বিন্দু বিন্দু ঘামে দেহের মাধুর্যতা
প্রথম স্পর্শে কেঁপে কেঁপে উঠা,
চকিতেই লজ্জ্বায় দৌড়ে পালানো!
কেন মনে পড়ে;
পিছনে তাকালেই কেন মনে পড়ে এতসব?