দেখিবনা আর তারে

দেখিবো না আর তারে কোনদিন; হবেনা কথা তার সনে
আষাঢ়ে গুরু জলদ গর্জায়, শ্রাবণ মেঘে ভিজে কাকতাড়ুয়া
বালিহাঁস পাখনা মেলে বর্ষার জলে
চৈতালী ক্ষর রোদে শুকায় নোনা জল
তবু আসিবে না ফিরে সে প্রভাত কালে আর,
রাখিবেনা সুনিপুণ বাজু কাঁধে
আসিবে না অবেলায় ওই নদীর ঘাটে,
বসুমতি যেখানে প্রকৃতিকে রাখে বেধে!
 
লতায় পাতায় জড়ায় সবুজ সবুজে
দেখিব না আর তারে কোনদিন
আসিবে না সে ফিরে, কইবে না কথা
এ কোন সুরে বেদেনী বাজায় সর্পবিন!
 
মানব-মানবীর পরিসমাপ্তি অসুরা কালে,
ধরিত্রীর নিয়ম সঙ্গমে বিহগ ডালে ডালে
অম্বর চুমোয় দিগন্ত মিলনে
তটিনীর সমর্পণ হয় উর্মি দোলনে!
 
দেখিবে না সে আর কোনদিন হৃদয় দুয়ার মেলে,
ফিরিবে না আর চায়ের কাপ হাতে কোন সন্ধ্যাকালে
নক্ষত্রের সারি ঢেকে দিবে দূরাকাশ; প্রভায় আলোরিত চারিদ্বার
পাশের বনবিতানে ঝুপ করে নামিবে সন্ধ্যা;
কুঁমড়ো মাচায় ঝুলিছে অবয়ব কার।
 
ঘাটের মাঝি তরী ভিড়ায় ঘাটে, আঁধার নামে কলতলে,
ওরে আসিবেনা আর সে কোনদিন; দেখিবো না তারে ইহকালে।
গিয়েছে সে চলে অমাবস্যা নামে, ঘোর বিষাদে প্রাণ যায় যায়
কে নিল কারিয়া খনিকের দরিয়া, প্রবল ক্ষরায় সুপ্ত মন কাঁদায়!
 
বিষধর কালপিনী জড়ায়ে ধরে মোরে, নিঃশ্বাসে ক্ষয় বিশ্বাস
দেখিবো না আর কোনদিন তারে, হবেনা কথা
হবেনা দেখা অশ্বথের তলে!
এক ফালি চাঁদ হারে জোছনার কাছে, বেদনায় নীল আমার আকাশ
দেখিবো না আর কোনদিন তারে, পড়িবে না দুয়ারে তার উষ্ণ নিঃশ্বাস।