যেতে যেতে অরণ্যকে সাক্ষী রেখে বলে যাই
এইখানটাতে একটা শহর ছিল
শহরের গা ঘেঁষে পুরনো দেয়াল ছিলো
মুক্তস্বরে আর্তনাদ; মানুষ পোড়া গন্ধ ছিলো
ঠিক এইখানটাতেই শুভদা’র বসত ছিলো।
নির্জন প্রহর; আকাশের বুক ফুঁড়ে শোকগাঁথা
তারই মাঝে আগুন লাগা সুগন্ধি বুকে শুভদা এসেছিল
গোপন অভিসারে কুয়াশা ভোরে, বিনুনী টেনে নিষিদ্ধ ঘরে
জিঘাংসার অস্থির চোরাস্রোতে নাভিমূলে পুঁতে দিয়েছিল এক অদৃশ্য প্রেম!
বুকের ভাঁজে বুকের অসহনীয় উৎকন্ঠায় আমি কপালকুন্ডলা
ছুটে যাই নীল ঘরে বাষ্পীভূত নীলাজলের মোহনায়!
শুভদা সেদিন বিস্ময়ভরে শান্ত বিলাপে
এক মুঠো অভিশাপ ছুঁড়ে দিয়েছিল আমার হৃদপিন্ডে।
আজ বুকের জলে হাঁটু ডুবালেই কেবল নিষ্পেষিত কষ্টকাঁদা
মনে হয়,
মনে হয়, বুকের ভিতর বিষ ঢুকেছে; বিষজলে মৃত্যুতরী
প্রাচীর ঘেরা দম্ভ ভেঙ্গে যখন তখন সে বিষেতে ডুবে মরি।
যেতে যেতে অরণ্যকে সাক্ষী রেখে বলে যাই,
এইখানটাতে শুভদা ছিল;
আমার ভেতর কি যে পেল জলতৃষ্ণায় অনাহারে;
হাঁটু গেড়ে বসেছিল।
শুভদা ৩
Published by HB Rita on Sunday, January 5th, 2014