মৃন্ময় ৩৩

কতবার তোকে বলতে গিয়েও চেপে ধরেছি ঠোঁট
নিঃশ্বাস এসে থেমে গেছে নাসিকার ঠিক শেষ প্রান্তে।
মৃন্ময়…
বুকের উপর তুই বসে আছিস ভালোবাসার তলোয়ার হাতে।
ভীষণ ক্ষরায় তৃষ্ণা জাগে
তোর বিহনে ত্রিদশালয় বিষাদ লাগে
একটুখানি ছোঁয়ার অপেক্ষায়;
শুধাংশু ও যেন দ্বি-প্রহরে জাগে।
তারপর ভাবি,
তোর চোখের তারায় কেন আমি ছন্দ হয়ে যাই?
তোর না বলা ভাষায় শব্দ খুঁজে পাই
কতবার তোর চোখে দেখতে চেয়েছি প্রেম
মনের আঙিনায় নীল কষ্টের মল পায়ে,
ঝঙ্কারে মোহিত করতে চেয়েছি তোর হৃদয়
তোর ধমনীতে মিশে যেতে চেয়েছি কতবার
তবু ছুঁতে পারিনি তোর হৃদয়
কতবার যে ভালোবাসি বলতে চেয়েও,
ভীতু চোখে ঝরেছে জল;
তা কেবল আমার স্রষ্টাই জানেন।
কতবার প্রকৃতির সবুজ হয়ে
লেগে থাকতে চেয়েছি তোর দু’চোখে
কতবার যে শব্দের ছন্দে,
কষ্টের সুতোয় ভালোবাসা গেঁথ্‌
পড়াতে চেয়েছি তোর গলায়
সে কথা কেবল আমার মনই জানে।
কতবার মিশে যেতে চেয়েছি তোর আবেশে
যেমনটি প্রকৃতিকে ভালোবেশে অম্বর মাটিতে মিশে।
মৃন্ময়…
তুই বড় পাষাণ!
তোর পাশবিকতা যেন,
নেরো’র ভয়ংকর মানসিকতাকেও হার মানায়!
অদৃষ্ট বলে যদি কিছু থেকে থাকে
তবে তুই জেনে রাখ,
এই শশাঙ্ক, দিবাবসু, ধরনী, ত্রিদশ সাক্ষী
সাক্ষী বিহঙ্গ, শৈবালিনী, গন্ধবহ
আরো সাক্ষী এই নীলাম্বরে ভাসমান জলধর
তুই কাঁদবি সেদিন রবো না যেদিন
মেদিনী বক্ষে খুঁজবি আমায় একদিন।
মৃন্ময়…
বুকের উপর তুই বসে আছিস ভালোবাসার তলোয়ার হাতে।