ফ্যাসিবাদ

ফ্যাসিবাদ বলতে সাধারন জনগন যা বোঝে, মূলত তার অর্থ আরো ব্যাপক। 

ফ্যাসিবাদ সব সময় গনতন্ত্র ও সমাজতন্ত্রের সাথে সাঙ্ঘর্ষিক। ফ্যাসিবাদ সাধারণত একটি নির্দিষ্ট জাতি-গোত্র বা শ্রেণিকে টার্গেট করে এবং দেশের সকল সমস্যার মূলে সেই জাতি-গোত্র-শ্রেণিকে জনগনের সামনে এনে দাড় করায়। উদাহরণ স্বরুপ বলা যায়- হিটলারের দেশে শত্রু হিসাবে প্রচার করা হতো ইহুদিদের। একুশ শতকে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে করা হতো অভিবাসীদের। যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সে প্রচার করা হয় মুসলমানদের। বিশ শতকে যুক্তরাষ্ট্রে শত্রু হিসাবে প্রচার করা হতো কমিউনিষ্টদের। কিন্তু সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে পরলে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের সাথে নিজেদের ফ্যাসিবাদী সম্রাজ্য টিকিয়ে রাখতে শত্রু হিসাবে তৈরী করে লাদেন ও তালেবান গোষ্ঠী। যখন তালেবান দিয়ে কাজ হচ্ছিলনা, তখন তৈরী করে আইএস। এভাবেই ফ্যাসিবাদ রাষ্ট্র দেশের অভ্যন্তরে ছাড়াও দেশে দেশে শত্রু তৈরী করে জনগনকে ধোঁকা দেয়। ফ্যাসিবাদের আক্রমন যখন নিজ দেশে তৈরী করা হয় তখন তা বর্ণ বৈষম্য, সাম্যের বিরুধীতা ও সাম্প্রদায়িকতার রুপ পরিগ্রহ করে। এক্ষেত্রে ফ্যাসিবাদ জাতীয় আবেগ তীব্র করতে ও জনগনের আত্মহুতির প্রবনতা বৃদ্ধি করতে জঙ্গি ক্রীয়াকলাপ, যুদ্ধ, রাষ্ট্র বিরুধী চক্রান্তকে আগ্রহের সাথে গ্রহন করে। 

বর্তমান বাংলাদেশ ফ্যাসিবাদতন্ত্রে হিটলার বা যুক্তরাষ্ট্র থেকে কোনদিক দিয়ে পিছিয়ে নেই। এবং জামাত

-শিবিরকে কেন সব ব্যাপারে বার বার তীর ছুঁড়া হয়, তাও আশাকরি সবার কাছে স্পষ্ট। 

How brilliant!!!