নীল অপরাজিতা

ওই কুন্ঠিত নারীর কিছু নির্দিষ্ট স্থান কুঠুরী আছে! একটি প্রগাড় নীল রং আছে, কিছু নিজস্ব দুঃখ আছে, বেলাল্লাপনায় রাখ-ঢাক আছে! ওরা অপরাজিতা; ওরা নীল অপরাজিতা!
প্রকৃতির বুকে ওরা এক টুকরো প্রগাঢ় নীলের সম্ভাষণে পুরুষের ভালোলাগার অনুভূতিকে ছুঁয়ে গেলেও, ওরা গন্ধহীন, নিজেরই অজান্তে। ওরা নীলে নীলে নীলাকার মহাকাশে উড়ন্ত নাটাই বিহীন ঘুড়ি দেখেও আতংক লজ্জায় শিউরে উঠে! খপ করে বুকের ভিতর হ্নদপিন্ডটাকে খামচে ধরে! যদি বাসনায় কামনার বিপ্লব ঘটায়…! তবে এ দ্বায়ভার নেবে কে? তবে এ আগুন নেভাবে কে?
ক’জন হাত দিয়ে ছুঁয়েছে অপরাজিতাদের শীতল কষ্ট! কি নিদারুন করুন আর্তনাদে ওদের বোবা কান্না গুলো ফুলে ফেঁপে উঠে মাঝনিশিতে! আহা! কে আছিস এ অবেলায় ওদের তৃষ্ণা মিটিয়ে যা! যেতে যেতে নিশি বিচরণে ওদের ভিজিয়ে দিয়ে যা! কেন নয়? ওদের স্নান করা যে কালের দাবী!


দিনক্ষন দেখে কি পাপ হয়? পাপ কে দেখেছে? নিতাইয়ের বউ গহনার ভারে হেলে পরে, বছর বছর পেয়াতী হতে লাজে না ধরে! ওদিকে মরণ কাকু লজ্জার মাথা খেয়ে তিন তিনটে বউ করেছে, কে দেখেছে, কে শুনেছে! খিলখিলিয়ে বিনুনী দুলিয়ে মায়ারানী শরীর ঘষে রোজ প্রাতে! মরণ মরণ! এত জ্বালা কি প্রাণে সয়?


অপরাজিতার মনোকাশে দলছুট কালো মেঘের দল, শরীরে জোয়ার ভাঁটায় থকথকে কাঁদাজল! ওদের ক্ষুদা বাড়ে গোপনে সংগেপনে, হাওয়া গিলে ক্ষুদা নিবারণ আর কতকাল? হে পরমেশ্বর! হে অকুল দয়ার সাগর! গলা টিপে হত্যা করো কূলটা জন্মদাসীদের, নয় শরীর ফুটো করে সর্পবিষ গড়িয়ে দাও গঙ্গাজলে! মরণ মরণ! নীল অপরাজিতা!